প্রবা
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:০৩ এএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৪ এএম
প্রধানমন্ত্রীর
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হোক
১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরপর দীর্ঘ সময়েও অন্য সরকারগুলো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি নজর দেয়নি। অথচ অসংখ্য বেসরকারি বিদ্যালয় ও শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ হবে এমন আশা নিয়ে অনেকেই গুনছেন প্রতীক্ষার প্রহর। দীর্ঘদিন পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় সরকার গঠন করে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি আবার নজর দেয়। ২০১৩ সালে যোগ্য পিতার উত্তরসূরি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘দেশে আর কোনো বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে না।’ অথচ তৃতীয় ধাপে প্রায় ১ হাজার ৩০০ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাচাইবাছাই করে যোগ্য বিবেচিত ও সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আজও জাতীয়করণ হয়নি। এতে একদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি যেমন পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি, তেমন বেতনভাতার অভাবে শিক্ষকরাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবিলম্বে তৃতীয় ধাপে সুপারিশকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ জাতীয়করণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
খন্দকার এইচ আর হাবিব
প্রধান শিক্ষক,
মৌলভীর ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
রংপুরের উন্নয়নে নজর দিন
অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে রংপুর বিভাগ। দেশের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাত্র চারটি এ বিভাগে স্থাপনের প্রস্তাব হয়েছে। রংপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরের অর্থনৈতিক অঞ্চল যেন ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। রংপুর বিভাগে বেসরকারি কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল নেই। দেশের ৩২টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে রংপুর বিভাগের আট জেলায় রয়েছে মাত্র দুটি। শিক্ষা খাতের বাজেট বরাদ্দেও রংপুর পিছিয়ে। থমকে আছে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাগার ও মেয়েদের হল নির্মাণ। দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হয়নি রংপুর মেডিকেল কলেজকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত।
দেশের ১১ সিটি
করপোরেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৫ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়; যার মধ্যে
রংপুর সিটি করপোরেশনে বরাদ্দ মাত্র ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে
১১ সিটি করপোরেশনের জন্য মোট বরাদ্দ প্রায় একই থাকলেও রংপুর বিভাগের বরাদ্দ আগের অর্থবছরের
চেয়ে কমে আসে অর্ধেকেরও বেশি। মাত্র ১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও
রংপুর বিভাগের জন্য বরাদ্দ তুলনামূলক কম। এ অঞ্চলে নেই কোনো মেগা প্রকল্পও।
দেশের সবচেয়ে
পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের বৈষম্য দূর করে এখানে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে হলে প্রয়োজন বিশেষ
বরাদ্দ। বৃহত্তর রংপুরের উন্নয়নে প্রয়োজন শিল্পায়ন। এজন্য নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের
পাশাপাশি আগামী বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোরও দাবি জানাই।
মো. আনোয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, বেগম
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর